ছবিঃ প্রথম আলো |
ইসলামী ব্যাংকের কাকরাইল শাখার গ্রাহক মোহাম্মদ সাঈদ ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি মারা যান। তখন তার ব্যাংকে জমা ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৫ টাকা। সাঈদের মৃত্যুর আট মাস পর রমজান আলী নামের এক ব্যক্তি তথ্য গোপন করে তার স্বাক্ষর কপি করে নতুন মোবাইল নম্বরটি ব্যাংক হিসেবে সংযুক্ত করার অনুরোধ করেন। তিনি ইসলামী ব্যাংকের কাকরাইল শাখার নিরাপত্তারক্ষী। তার আবেদন যাচাই না করেই রমজানের মোবাইল ফোন নম্বরটি মৃত সাঈদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হিসেবে যোগ করা হয়। এরপর 28 অক্টোবর, 2021 থেকে 3 নভেম্বর, 2022-এর মধ্যে রমজান আলী ইসলামী ব্যাংকের 'সেলফিন' অ্যাপ ব্যবহার করে 1 কোটি 33 লাখ 1 হাজার 200 টাকা উত্তোলন করেন।
প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকের মৃত গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মে রমজানের বিরুদ্ধে মামলা করে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এক মাস পর রমজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। ইসলামী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি এ জালিয়াতি করেছেন বলে তার জবানবন্দিতে জানা গেছে। গত ৩ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের কাকরাইল শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রমজানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অলিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।