নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষের দিন কাটছে চরম দুর্ভোগে: রিজভী

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র কাঁদছে। দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। আওয়ামী ইউনিয়নের আওতাধীন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তীব্র বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। সংসার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের মানুষ। ধার করেও সংসার চালাতে পারেন না।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজারে সোনার দাম সবুজ মরিচের আকাশ ছুঁয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গ্যাস সংকট চরমে পৌঁছেছে। গ্যাসের অভাবে একদিকে চুলা জ্বলছে না, অন্যদিকে শিল্প কারখানাগুলো একের পর এক দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। লোডশেডিং নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ গ্যাস সংকটে গাজীপুরের অর্ধেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রামের অবস্থা আরও খারাপ।
বাজারের অবস্থা ভয়াবহ দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্ভবত জাল ভোট বর্জনের কারণেই জনগণকে শায়েস্তা করতে মুনাফাখোর ও ইউনিয়ন ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভুয়া সরকার শপথ নেওয়ার পরদিন হঠাৎ করেই চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। পিক মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে তিনগুণ। প্রতিদিনই ইউনিয়নের মাধ্যমে কোনো না কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। গত সপ্তাহে এক কেজি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।

খাদ্যমন্ত্রী একটি রাইস মিলের মালিক দাবি করে রিজভী বলেন, খাদ্যমন্ত্রী রাইস ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা। এই ব্যস্ত মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৫ দিন আগে খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের চার দিনের মধ্যে চালের দাম কমানোর আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। রাঘব পল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সত্য যে কোন প্রচেষ্টা সফল হবে না.

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম